দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না

দলীয় সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি জানায়, দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক, সংসদ সদস্য পদে থেকেই দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কোনো নির্দলীয় সংসদ সদস্য নির্দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে শর্তগুলো পরিপালন করতে হবে।

মো. শরিফুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে তালিকার প্রয়োজন হবে না।

সবার জন্য টিকা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

সবার জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

যতক্ষণ করোনার টিকা বাজারে আছে ততক্ষণ সরকার তার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা ভ্যাকসিনের ডোজ অর্থ খরচ করে সংগ্রহ করছি। কিন্তু জনগণের জীবন বাঁচাতে আমরা এ সকল ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিচ্ছি।’

ইমরান-পড়শীর ‘এক দেখায়’

১০ বছরের ক্যারিয়ারে দু’জনার অডিও গানের সংখ্যা অনেক। সফলতাও সেই মাপে এসেছে। তবে ভিডিও মাত্র দুটি! একটি ২০১৩ সালে অন্যটি ২০১৯ সালে। দুটোই হিট।

প্রায় দুই বছর পর ফের তারা দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে- প্রেমিক-প্রেমিকার বেসে। গানের নাম ‘এক দেখায়’। লিখেছেন স্নেহাশীষ ঘোষ। পড়শীকে নিয়ে গাওয়ার পাশাপাশি সুর-সংগীত করেছেন ইমরান নিজেই। আর ‍ভিডিও নির্মাণ করলেন সৈকত রেজা।

ভারতে বিজেপি বিরোধী প্রধান বিকল্প এখন মমতা

নিজে জিতেও কিছুক্ষণ পরেই আবার পরাজিত ঘোষিত হয়েছেন নন্দীগ্রামে। সন্দেহ নেই, পুনঃগণনা, এমনকি আইন-আদালতেও যাবে বিষয়টি। অবশ্য দলের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর নিজের ব্যক্তিগত জয়-পরাজয়ের ব্যাপারে চিন্তিত হওয়ার অবকাশ নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার সামনে এখন শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতের রাজনীতির ভালোমন্দের চিন্তা। কারণ, একা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের তকমাধারী বিজেপিকে রুখে ভারতের প্রধান ও বিকল্প বিরোধী মুখে রূপান্তরিত হয়েছেন মমতা। ‘বাংলার মেয়ে’ থেকে তার উত্তরণ হয়েছে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সম্ভাবনার জায়গায়।

আস্ত এক মাসের নির্বাচনী উৎসব শেষে ২০০ প্লাস আসনে বিজয়ী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের পথে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) চূড়ান্ত শক্তি প্রয়োগ করেও ক্ষমতা দখলে এবং মমতাকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। মমতার বিজয় শুধু বাংলায় হয়, সর্বভারতীয় পর্যায়ে আলোড়ন তুলেছে। কংগ্রেস বা রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নয়, একমাত্র মমতাই পারেন মোদি ও বিজেপিকে দমিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করতে, এমন বিশ্বাস সর্বভারতীয় স্তরে সুদৃঢ় হয়েছে মমতার বিজয়ের ফলে।

বিএনপি হলো ভুল ধরা পার্টি: তথ্য মন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা সমগ্র বাংলাদেশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা এখন। আমরা কি কাজ করছি সেটাতে কোন ভুল আছে কিনা শুধু সেটা খুঁজে বেড়ায়। তারা শুধু ভুল ধরে নিজেরা কোন কাজ করে না, তাই তাদের নাম দিয়েছি আমি ভুল ধরা পার্টি।

শনিবার (০১ মে) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তথ্য মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্র্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্রদের টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেলেও জনগণের পাশে তারা নেই। মাঝে মধ্যে তাদের ঢাকা শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায়, নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা যায়। অথবা ঘর থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সরকারের সমালোচনা করেন তারা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া ও মেহনতি মানুষের দল। গরীব মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, তাই আমাদের দল গরীব মানুষের কথা ভাবে, অনেকে গরীব মানুষের কথা ভাবেনা। আমাদের দল এবং সরকার জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। অন্য কেউ নাই, তারা শুধু গলা ফাটায়।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাস্থ মরহুম এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে তথ্য মন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করে। এদিন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, পদুয়া ও শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নের দুই হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ক্রমান্বয়ে দশ হাজার পরিবারে এসহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।

এনএনকে ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী আবদুর রউফ মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও এমরুল করিম রাশেদের সঞ্চালনয়ায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও মাসুদুর রহমান, মেয়র শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ প্রমুখ।

দৃশ্যমান হলো পূর্ণাঙ্গ পদ্মা সেতু

মহান মে দিবস আজ। সবার যখন সাধারণ ছুটি এর মাঝেও থেমে ছিলো না স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘিরে শ্রমিকদের কর্মযজ্ঞ। এই কাজে অংশ নিতে পেরে শ্রমিকরা বেজায় খুশি। কারণ স্বপ্নের সেতুর দুই প্রান্তের ৪৩৮টি সুপার গার্ডারের সবশেষ গার্ডারটিও বসছে মাওয়া প্রান্তে। এই গার্ডারটি বসার পরই সংযোগ সেতু পূর্ণাঙ্গ দৃশ্যমান হয়।

শনিবার (১ মে) এ গার্ডার বসার মধ্য দিয়ে মূল সেতুর পাশাপাশি সংযোগ সেতুর সোয়া তিন কিলোমিটারেরও বেশি দৃশ্যমান হয়।

মাওয়া প্রান্তে এই গার্ডারটি বসার পরই সংযোগ সেতু পূর্ণাঙ্গ দৃশ্যমান হয়। সংযোগ সেতু্টি পদ্মার দুই পাড়ের সঙ্গে মেলবন্ধনের সেই স্মরণীয় মুহূর্ত ঘিরে চলছে কর্মযজ্ঞ। শ্রমিকরা ৩৮ মিটার দীর্ঘ ও ৮৪ মেট্রিক টন ওজনের গার্ডারটি বসাতে কাজ করে যাচ্ছেন। সেতুর ভায়াডাক্টের মাওয়া প্রান্তে সবশেষ ৪৩৮তম সুপার গার্ডারটি বসানো হয়েছে।
মূল সেতু দৃশ্যমান হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যেই সংযোগ সেতুও পূর্ণাঙ্গ দৃশ্যমান হচ্ছে। পুরো সেতুর অবকাঠামো মাওয়াকে জাজিরার সঙ্গে যুক্ত করছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সংযোগ সেতু ১৪৭৮ এবং জাজিরা প্রান্তে ১৬৭০ মিটার।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, এই গার্ডারটি বসে গেলে মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তের সংযোগের আর কোনো বাধা থাকবে না এবং পদ্মা সেতু প্রকল্প আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

আফগানিস্তানে ইফতারির সময় গাড়িবোমা হামলা, নিহত ২৭

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে লোগার প্রদেশে গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৯০ জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা আছে বলে জানা গেছে। লোগার প্রদেশের রাজধানী পুয়েল–ই–আলমের একটি অতিথিশালায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলায় অতিথিশালার ছাদ ধসে পড়েছে। ছাদের নিচে অনেকে আটকা পড়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও জরুরি উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মীরা। আটকে পড়াদের উদ্ধার অভিযান চলছে।

শক্তিশালী এ গাড়ি বোমা হামলার সময় আশপাশের বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লগার প্রাদেশিক কাউন্সিলের প্রধান হাসিবুল্লাহ স্টেনেকজাই বলেন, হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেন, ভয়াবহ এই হামলায় ৯০ জন আহত হয়েছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলায় আশপাশের ভবন ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের বেশ কিছু ভবনের ছাদ ধসে লোকজন আটকা পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাইকে উদ্ধারের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর থেকে দেশটিতে হামলা বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি টেনে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় তালেবানের হাতে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। প্রায় দুই দশক আগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেন। এই যুদ্ধে দেশটির ক্ষমতায় থাকা তালেবান সরকারের পতন হয়।

শপিং মলে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারি বিধি-নিষেধের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের লোকসান কাটিয়ে উঠতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত। শপিং মল খুলে দেওয়ার পর প্রথম শুক্রবার ছিল গতকাল। সাধারণ ছুটির দিনে গতকাল রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ শপিং মল বসুন্ধরা

সিটি ছিল ঈদ কেনাকাটায় ভীষণ ব্যস্ত। পছন্দের নতুন জামা, জুতা, অলংকার আর প্রসাধনসামগ্রী কিনতে ক্রেতাসাধারণ ছুটে এসেছিল বসুন্ধরা শপিং মলে।

গতকাল দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাসাধারণের সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার লম্বা লাইন। মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা এই শপিং মলে প্রবেশের সময় নিশ্চিত করছেন স্বাস্থ্যবিধি। শপিং মলে প্রবেশের পরও নিরাপত্তাকর্মীর চোখে যদি পড়ে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের কোনো দৃশ্য, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে সচেতন করে দিচ্ছেন।

শপিং মলটির ভেতরে বিভিন্ন লেভেলে গিয়ে দেখা গেছে, মূলত পোশাক এবং জুতার দোকানে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি ভিড়। তুলনামূলক কম ভিড় দেখা গেছে মোবাইল ফোনের দোকানগুলোয়। আর অলংকার ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত চার-পাঁচ দিনের তুলনায় গতকাল তাঁদের বিক্রি ছিল ভালো। সদ্য বিবাহিত বৃষ্টি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আসলে কেনাকাটা করতে আসতে তো হতোই। নতুন বিয়ে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার জন্য নতুন জামাকাপড় কিনলাম।’

বাচ্চাকে কোলে নিয়ে নিশাত-রবিন দম্পতি এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। জানালেন, কেনাকাটা করতে তাঁদের প্রথম পছন্দ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বসুন্ধরা সিটিতে বাড়তে থাকে ক্রেতার ভিড়। সঙ্গে বেচাবিক্রিও। কমপ্লেক্সটির পার্কিংয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কেনাকাটা করতে আসা মানুষের গাড়িতে পার্কিং প্রায় পূর্ণ।

অন্যদিকে, রাজধানীর আরেক শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েও দেখা গেছে নানা বয়সী মানুষের ব্যাপক ভিড়। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষের আনাগোনা ছিল এই শপিং মলে। জনপ্রিয় পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোর শোরুমে পা ফেলার জায়গা ছিল না। দেশীয় ব্র্যান্ড আড়ংয়ে লম্বা লাইন ধরে ক্রেতাদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে রাখা হয়েছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান, ২০-৬০% ডিস্কাউন্ট অফার। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বাইরে অন্য দোকানগুলোতেও নানা ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে।

ঈদে পোশাকের বৈচিত্র্য কেমন জানতে চাইলে বনানী থেকে আসা বাপ্পী ও উষা বলেন, এবার কালেকশন অনেক বেশি। তবে নতুনত্ব কম। কিছু ব্র্যান্ডের দোকানে কালেকশন বেশ ভালো। তবে বেশির ভাগ শপে ডিজাইন গত বছরের মতো।

করোনা মহামারি বিবেচনায় রেখে যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজ, তাপমাত্রা মাপা ও মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে।

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র জনগণের পাশে শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশের কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের এই দুঃসময়ে জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই মারাত্মক ভাইরাস আক্রমণের বিরূপ প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখের অধিক পরিবারকে পরিবার প্রতি ২,৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের প্রাক্কালে দেয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, তাঁর সরকার জনগণের পাশে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ লক্ষ্যে আগামী ২ মে (রোববার) প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা বিতরণের দ্বিতীয় পর্ব চালু করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সচিব।

সচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পরিবারকে আগামী ২মে থেকে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার ফান্ড (ইএফটি)’র মাধ্যমে সরাসরি অর্থ সহায়তা প্রেরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।’

তিনি বলেন, মারাত্মক করোনাভাইরাস নতুন করে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ‘জি টু পি’ (সরকার থেকে ব্যক্তি) পদ্ধতিতে মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) ব্যবহার করে নগদ সহায়তা বিতরণ করা হবে।

এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯১২ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন, যেখানে প্রতিটি পরিবার ২,৫০০ টাকা পাবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে একদল সংবাদকর্মীর সাথে আলাপকালে বলেন, ‘বর্তমান লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথে শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মানবিক সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। অস্থায়ী কর্মহীন, স্বল্প আয়ের, নিঃস্ব ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষসহ সারাদেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী এই সহায়তা পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সচিব বলেন, লকডাউনের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ এবং দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি উপার্জনকারীদের অসুবিধা হ্রাস করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে ৫শ ৯০ কোটি টাকা বিতরণ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে চলমান লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র, দুস্থ, অসচ্ছল ও ভাসমান লোকদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত জেলা প্রশাসকের অনুকূলে ইতোমধ্যে তাঁর ‘ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’ থেকে ১০ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছেন।

গত বছরের গোড়ার দিকে, যখন কোভিড-১৯ এর প্রথম তরঙ্গ দেশে আঘাত হানে, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে সাড়ে ৩৬ লাখ দরিদ্র পরিবার এবং দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে পরিবার প্রতি ২,৫০০ টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করেছিলেন।