নিজে জিতেও কিছুক্ষণ পরেই আবার পরাজিত ঘোষিত হয়েছেন নন্দীগ্রামে। সন্দেহ নেই, পুনঃগণনা, এমনকি আইন-আদালতেও যাবে বিষয়টি। অবশ্য দলের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর নিজের ব্যক্তিগত জয়-পরাজয়ের ব্যাপারে চিন্তিত হওয়ার অবকাশ নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার সামনে এখন শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতের রাজনীতির ভালোমন্দের চিন্তা। কারণ, একা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের তকমাধারী বিজেপিকে রুখে ভারতের প্রধান ও বিকল্প বিরোধী মুখে রূপান্তরিত হয়েছেন মমতা। ‘বাংলার মেয়ে’ থেকে তার উত্তরণ হয়েছে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সম্ভাবনার জায়গায়।
আস্ত এক মাসের নির্বাচনী উৎসব শেষে ২০০ প্লাস আসনে বিজয়ী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের পথে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) চূড়ান্ত শক্তি প্রয়োগ করেও ক্ষমতা দখলে এবং মমতাকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। মমতার বিজয় শুধু বাংলায় হয়, সর্বভারতীয় পর্যায়ে আলোড়ন তুলেছে। কংগ্রেস বা রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নয়, একমাত্র মমতাই পারেন মোদি ও বিজেপিকে দমিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করতে, এমন বিশ্বাস সর্বভারতীয় স্তরে সুদৃঢ় হয়েছে মমতার বিজয়ের ফলে।