বেনাপোল সহ শার্শা উপজেলার সর্বত্র
ছড়িয়ে পড়েছে লবণের দাম বাড়ানোর গুজব। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লবণ কেনার হিড়িক পড়ে যায় মুদি
দোকানগুলোতে। দল বেধে গ্রামের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে পাইকারি দোকানগুলোতে। ৫০ থেকে ১০০
টাকা দরে এ লবণ মুহূর্তেই প্রায় শেষ হয়ে যায় সকল দোকানে। ওজনে কম ও অতিরিক্ত মূল্যে
লবণ বিক্রির অপরাধে শার্শা থানা পুলিশ নাভারণ বাজার থেকে ২ জন দোকান দার ও বেনাপোল
বাজার থেকে পোর্ট থানা পুলিশ এক দোকান দারকে আটক করেছে।
জানা যায়, পিয়াজের পর এবার লবনের
মূল্য বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়েছে বেনাপোল সহ শার্শা উপজেলার সর্বত্র। মূল্য বৃদ্ধির
আশংকায় বাড়তি দামে লবণ কিনে মজুদ করছেন সাধারণ ক্রেতার। এ সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী বাড়তি
দামে লবণ বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই ছড়িযে পড়ে লবণের দাম বাড়ছে। খবরে
গ্রাম থেকে দল বেধে লবণ কিনতে আসেন শহরের পাইকারি দোকানগুলোতে। দিনভর বেনাপোল, শার্শা,
নাভারণ ও বাগআঁচড়া এলাকায় প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে লবণ ক্রেতাদের ভিড় জমে
যায়। দাম বাড়ার আশংকায় বস্তা বস্তা লবণ কেনেন সাধারণ ক্রেতারাও। মানুষের হাতে হাতে
দেখা যায় লবণের প্যাকেট। এতে মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় সকল মুদি দোকানের লবণ। এদিকে মানুষের
মুখে মুখে লবণের দাম বাড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের বাজারগুলোতেও লবণ কেনার ভিড় জমে।
এ সুযোগে পাইকারি ও খুচরা দোকানদাররা হঠাৎ করেই লবণের দাম বাড়িয়ে দেন। সকালের দিকে
এক প্যাকেট লবণ বিক্রি হয়েছে ৩০ দুপরের দিকে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা সন্ধার দিকে কিছু
কিছু দোকানদার সেই লবণ বিক্রি করেছে ১০০ কেজি দরে। এভাবেই সারাদিন দোকানে লবণ কিনতে
ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ওজনে কম ও মূল্য বৃদ্ধির অপরাধে শার্শা থানা পুলিশ নাভারণ
বাজার থেকে ২ জন দোকান দার ও বেনাপোল বাজার থেকে পোর্ট থানা পুলিশ এক দোকান দারকে আটক
করেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ
মামুন খান বলেন, লবণ বেশি দামে বিক্রির অপরাধে বেনাপোল বাজার থেকে আনোয়ার নামে এক দোকানদার
কে আটক করা হয়েছে। অভিযান চালানোর জন্য ইউএনও কে বলা হয়েছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর
রহমান বলেন, অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করার ঘটনায় নাভারণ বাজার থেকে শফি ও নুরুজ্জামান
নামে দু‘মুদি দোকানদারকে আটক করা হয়। পরে তাতে ইউএনও এর কাছে
হস্থান্তর হরা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও
পুলক কুমার মন্ডল বলেন, লবণের দাম বাড়েনি, লবণের মজুদও রয়েছে প্রচুর। কেউ কেউ মিথ্যা
গুজব ছড়িয়ে লবণ সংকট সৃষ্টি করছে। জড়িতদের সনাক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।