আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যেখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারবে। সকল উৎসব উদযাপন করতে পারবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর লালবাগের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর দিনে তিনি মন্দিরের পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন।
তিনি বলেন, আজকে আমরা এই স্লোগানটা নিয়ে এসেছি যে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। আজকে আমরা সবার উৎসবে যোগ দেই, অংশীদার হই।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি ধর্মের মর্মবাণী একটাই। সেখানে সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্বের কথা বলা আছে। সহনশীলতা কথা শান্তির কথা বলা আছে। তারপরও আমরা মাঝে মাঝে দেখি অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে যায়।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু প্রত্যেক মানুষের প্রতি যেন সহনশীলতা থাকে, সম্মান ও সহানুভূতি থাকে-এটাই একটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে। একটি দেশ উন্নত হতে পারে, সমৃদ্ধ হতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। আমরা এ দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। যার শুভফলটা আজকে দেশের মানুষ পাচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একেবারে গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে রাজধানীর মানুষ পর্যন্ত তার সুফলটা ভোগ করতে শুরু করেছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করবেন যেন দেশের সকল মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে থাকতে পারে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যেন মঙ্গল হয়, উন্নত জীবন হয়, দারিদ্র্যের হাত থেকে যেন মুক্তি পায়।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের আগে প্রধানমন্ত্রী টিকাটুলীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মন্দিরের পূজামণ্ডপও ঘুরে দেখেন। দর্শনার্থী, ভক্তদের মাঝে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।