গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ড.
খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত থেকে আন্দোলন শুরুর পর বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনিক ভবনের
সামনে তারা এই অনশন কর্মসূচি শুরু করে।অনশনরত শিক্ষার্থীরা ভিসির কুশপুত্তলিকা
তৈরি করে তা প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন ১৪টি বিষয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এক
দফা এক দাবি ‘ভিসির
পদত্যাগ’
বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
যাতে করে আন্দোলনকারীরা বাড়ি চলে যায় তার জন্য গোপালগঞ্জের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
সকল বাস সার্ভিস বৃহস্পতিবার ফ্রি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসময়
শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের বাড়ি চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক
শিক্ষার্থী। এছাড়া কিছু ভিসিপন্থি শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে
বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সকল ন্যায্য
দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ তাদের অবস্থান
নিশ্চিত করে ১৬ টি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হচ্ছে শিক্ষার্থী
ভর্তির ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্ষেত্রে বাক
স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফর্মের দাম কমানো,
বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা যাচাই করা ইত্যাদি।
আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, সরকার বিরোধী একটি চক্র ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল
করার ষড়যন্ত্র করছে।
উল্লেখ্য, কোন কারণ ছাড়াই
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং দ্যা ডেইলি সানের
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে গত ১১ সেপ্টেম্বর সাময়িক বহিষ্কার করে
প্রশাসন। পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের আন্দোলনের
মুখে বাধ্য হয়ে বুধবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ওইদিনই সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিএনপি-জামায়াতপন্থি, অযথা বহিষ্কার ও দুর্নীতিসহ ২০টি
বিষয় উল্লেখ করে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন।