এক
মাসের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া
ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি
কক ও লাল লেয়া মুরগির। এ
বিষয়ে বিক্রেতাদের কাছে দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সঠিক জবাব
দিতে পারেনি। তারা বলছেন, মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে
তা কম আসছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। ফলে দাম বাড়তি রয়েছে। মুরগি
কিনতে আসা সোহেল বলেন, এক মাস আগে যে মুরগির কেজি প্রতি দাম ছিল ১৩০ টাকা।
বাড়তে বাড়তে এখন তা ১৬০ এ গিয়ে পৌঁছেছে। এভাবে চলতে থাকলে মুরগির মাংস আর
খাওয়া হবে না।এ
পসঙ্গে কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি
জানান, এখন বাজারে মুরগির দাম চড়া। ফলে কম দামে বিক্রি করার উপায় নেই।শুক্রবার
(১ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, সেগুনবাগিচা, হাতিরপুল বাজার ঘুরে
ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ
ছাড়া কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্য়লার বিক্রি হচ্ছে
১৬০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ১৩০ টাকা; পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি
২৬০-২৮০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ২৪০ টাকা; লাল লেয়ার মুরগি এখন বিক্রি
হচ্ছে ২০৫ টাকা কেজি, যা গত জানুয়ারিতে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা; কক প্রতি
কেজি ২৪০ টাকা, যা জানুয়াতি ছিল ২১০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা,
যা জানুয়ারিতে ছিল ৪১৫ টাকা; টারকি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, যা জানুয়ারিতে
ছিল ২৭০ টাকা।